Skip to main content

ভগবত গীতার সারাংশ বাংলায় অনুবাদ | শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠ বাংলা অনুবাদ সহ গীতার শ্লোক বাংলা অনুবাদ - Bong Source

জানুন গীতার সারাংশ বাংলায় অনুবাদ, গীতা পাঠ বাংলা অনুবাদ, ভগবত গীতা বাংলা অনুবাদ, গীতার শ্লোক বাংলা অনুবাদ, গীতার সারাংশ pdf, শ্রীমৎ ভাগবত গীতা ১৮ অধ্যায়, শ্রীমদ্ভাগবত বাংলা pdf, গীতার বাণী, গীতা বাংলা অনুবাদ, গীতা পাঠ বাংলা অনুবাদ, ভগবত গীতা বাংলা অনুবাদ, গীতার সারাংশ বাংলায় অনুবাদ, গীতা পাঠ বাংলা অনুবাদ সহ, শ্রীমদ্ভাগবত গীতা বাংলা অনুবাদ, ভগবত গীতা বাংলা, গীতা ১৮ অধ্যায়, শ্রীমদ্ভাগবত গীতার সারাংশ ও গীতা পাঠ ও গীতার শ্লোক বাংলা অনুবাদ সহ, শ্রীমদ্ ভগবত গীতার সারাংশ বাংলায় অনুবাদ, গীতার শ্লোক বাংলা অর্থ সহ, গীতার বাণী, গীতার ব্যাখ্যা, গীতা অধ্যায়, গীতার মাহাত্ম্য, গীতার সারাংশ pdf, ভগবত গীতা বাংলা অনুবাদ pdf, গীতার আঠারোটি নাম, গীতার নাম সমূহ, গীতার ১৮ অধ্যায়ের নাম, ভগবত গীতা বাংলা





গীতা একটি সাতশো শ্লোকের হিন্দু ধর্মগ্রন্থ৷ এটি প্রাচীন সংস্কৃত মহাকাব্যের একটি অংশ৷ হিন্দুরা গীতাকে ভগবানের মুখনি:সৃত বাণী মনে করে৷ কৃষ্ণর মুখ থেকেই এই গীতার বাণী নি:সৃত হয়েছে ফলে এটি একটি ঐশ্বরিক বাণী হিসেবে বিবেচিত হয়৷ কথিত আছে, কুরুক্ষেত্রে অর্জুনকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল কৃষ্ণ৷ আর সেই বাণীই আজও মানুষকে উদ্ধুদ্ধ করে চলেছে সমাজের মানুষকে৷গীতার সারাংশ বাংলায় অনুবাদ, বা গীতা পাঠ বাংলা অনুবাদ, বা ভগবত গীতা বাংলা অনুবাদ, বা গীতার শ্লোক বাংলা অনুবাদ, বা গীতার সারাংশ pdf, ভগবত গীতা বাংলা অনুবাদ pdf বা শ্রীমৎ ভাগবত গীতা ১৮ অধ্যায়, বা শ্রীমদ্ভাগবত বাংলা pdf, বা  গীতার বাণী - আমরা যাই বলি না কেন তা আজ জানবো....


ভগবত গীতার সারাংশ বাংলায় অনুবাদ | শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠ বাংলা অনুবাদ সহ গীতার শ্লোক বাংলা অনুবাদ - Bong Source

যেহেতু বেদব্যাস মহাভারত রচনা করেছিলেন বলে মনে করা হয়, সেহেতু মহাভারতের অংশ রূপে গীতাও তাঁর দ্বারাই রচিত বলে মনে করা হয়৷ গীতার রচনাকাল সম্বন্ধে অনেক রকম মতামত রয়েছে। ঐতিহাসিকেরা এই গ্রন্থের রচনাকাল হিসেবে খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম থেকে দ্বিতীয় শতাব্দী পর্যন্ত যে কোন সময়ের মধ্যে হতে পারে বলে অনুমান করেছেন।



    গীতার সারাংশ বাংলায় অনুবাদ | ভগবত গীতা বাংলা অনুবাদ

    শ্রীমদ্ভাগবত [Bhagavad Gita Summary in Bengali] গীতার ১৮ অধ্যায়  অতি সারসংক্ষেপে নিচে আলোচনা করা হয়েছে।  শ্রীমদ্ভাগবত গীতার যে সারাংশ [Srimad Bhagavad Gita Summary] হয় সেটা সম্পূর্ণ রূপে এক PDF আকারে নিচে তুলে ধরা হল  আশাকরি আপনি শ্রীমদ্ভাগবত গীতার সমস্ত সারটুকু সানন্দে গ্রহণ করবেন।

    গীতার সারাংশ pdf বা ভগবত গীতা বাংলা অনুবাদ pdf Download link  নিচে এ দেওয়া হল - 




    গীতার সারাংশ pdf | ভগবত গীতা বাংলা অনুবাদ pdf | শ্রীমদ্ভাগবত গীতার সারাংশ pdf download link 

     
    Download Now


    Read more :-      কৃত্তিবাস ওঝার বাংলা রামায়ন অনুবাদ PDF Download

    Read More:-  ভগবত গীতা বই pdf download বা গীতা যথাযথ pdf download


    গীতার শ্লোক বাংলা অর্থ সহ | গীতার মাহাত্ম্য | গীতার ব্যাখ্যা 


    গীতাশাস্ত্রমিদং পুণ্যং যঃ পঠেৎ প্রযতঃ পুমান্।।১।।

    গীতাধ্যায়নশীলস্য প্রাণায়মপরস্য চ। 

    নৈব সন্তি হি পাপানি পূ্র্বজন্মকৃতানি চ।।২।।

    মলিনে মোচনং পুংসাং জলস্নানং দিনে দিনে। 

    সকৃদ্ গীতামৃতস্নানং সংসারমলনাশনম্।। 

    গীতা সুগীতা কর্তব্যা কিমন্যৈঃ শাস্ত্রবিস্তরৈঃ।

    যা স্বয়ং পদ্মনাভস্য মুখপদ্মাদ্ বিনিঃসৃতা।।৩।। 

     ভারতামৃতসর্বস্বং বিষ্ণুবক্ত্রাদ বিনিঃসৃতম্।

    গীতাগঙ্গোদকং পীত্বা পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে।।৪।। 

    সর্বোপনিষদো গাবো দোগ্ধা গোপালনন্দনঃ। 

    পার্থো বৎসঃ সুধীর্ভোক্তা দুগ্ধং গীতামৃতং মহৎ।।৫।। 

    একং শাস্ত্রং দেবকীপুত্রগীতম্।

    একো দেবো দেবকীপুত্র এব। 

    একো মন্ত্রস্য নামানি যানি 

    কর্মাপ্যেকং তস্য দেবস্য সেবা।।৭।। 


    ভগবদগীতার নির্দেশকে যথাযথভাবে অনুসরণ করতে পারলে, অতি সহজেই সমস্ত ভয় ও উদ্বেগ থেকে মুক্ত হওয়া যায়। এই জীবনে ভয় ও শোকাদি বর্জিত হয়ে পরবর্তী জীবনে চিন্ময় স্বরূপ অর্জন করা যায়। “কেউ যদি আন্তরিকভাবে এবং অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে ভগবদগীতা পাঠ করে, তা হলে ভগবানের করুণায় তার অতীতের সমস্ত পাপকর্মের ফল তাকে প্রভাবিত করে না।”“প্রতিদিন জলে স্নান করে মানুষ নিজেকে পরিচ্ছন্ন করতে পারে, কিন্তু কেউ যদি ভগবদগীতার গঙ্গাজলে একটি বারও স্নান করে, তা হলে জড় জীবনের মলিনতা একেবারেই বিনষ্ট হয়ে যায়।”যেহেতু ভগবদগীতার বাণী স্বয়ং পরম পুরুষোত্তম ভগবানের মুখনিঃসৃত বাণী, তাই এই গ্রন্থ পাঠ করলে আর অন্যকোন বৈদিক সাহিত্য পড়বার দরকার হয় না। গভীর নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে নিয়মিতভাবে ভগবদগীতা শ্রবণ ও কীর্তন করলে আমাদের অন্তর্নিহিত ভগবদ্ভক্তির স্বাভাবিক বিকাশ হয়। বর্তমান জগতে মানুষেরা নানা রকম কাজে এতই ব্যস্ত থাকে যে, তাদের পক্ষে সমস্ত বৈদিক সাহিত্য পাঠ করা সম্ভব নয়। সমস্ত বৈদিক সাহিত্য পড়বার প্রয়োজনও নেই। এই একটি গ্রন্থ ভগবদগীতা পাঠ করলেই মানুষ সমস্ত বৈদিক জ্ঞানের সারমর্ম উপলব্ধি করতে  পারবে, কারণ ভগবদগীতা হচ্ছে বেদের সার এবং এই গীতা স্বয়ং ভগবানের মুখনিঃসৃত উপদেশ বাণী। “গঙ্গাজল পান করলে অবধারিতভাবে মুক্তি পাওয়া যায়, আর যিনি ভগবদগীতার পুণ্য পীযুষ পান করেছেন, তাঁর কথা আর কি বলবার আছে? ভগবদগীতা হচ্ছে মহাভারতের অমৃতরস, যা আদি বিষ্ণু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিজেই বলে গেছেন। (গীতা- ভগবানের চরণপদ্ম থেকে উদ্ভুত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ভগবানের মুখ ও পায়ের মধ্যে অবশ্য কোন পার্থক্য নেই। তবে আমাদের এটি বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, ভগবদগীতার গুরুত্ব গঙ্গার চেয়েও বেশি। “এই গীতোপনিষদ্ ভগবদগীতা সমস্ত উপনিষদের সারাতিসার এবং তা ঠিক একটি গাভীর মতো এবং রাখাল বালকরূপে প্রসিদ্ধ ভগবান শ্রীকৃ্ষই এই গাভীকে দোহন করেছেন। অর্জুন যেন গোবৎসের মতো এবং জ্ঞানীগুণী ও শুদ্ধ ভক্তেরাই ভগবদগীতার সেই অমৃতময় দুগ্ধ পান করে থাকেন।” বর্তমান জগতে মানুষ আকুলভাবে আকাঙ্ক্ষা করছে একটি শাস্ত্রের, একক ভগবানের, একটি ধর্মের এবং একটি বৃত্তির। তাই, একং শাস্ত্রং দেবকীপুত্রগীতম্- সারা পৃথীবীর মানুষের জন্য সেই একক শাস্ত্র হোক ভগবদগীতা। 


    গীতার নাম সমূহ বা গীতার আঠারোটি নাম


    1. গীতা, 2. গঙ্গা, 3. সাবিত্রী, 4. সীতা, 5. সত্যা, 6. পতিব্রতা, 7.  ব্রহ্মাবলি, 8.  ব্রহ্মবিদ্যা, 9. ত্রিসন্ধ্যা, 10. মুক্তি-গেহিনী, 11. অর্ধমাত্রা, 12. চিতানন্দা, 13. ভবঘ্নী, 14. তত্ত্বার্থ 15. ভ্রানি-নাশিনী, 16. বেদত্রয়ী, 17. পরনন্দা, 18. জ্ঞানমঞ্জরী।


    গীতার ১৮ অধ্যায়ের নাম

    গীতার ১৮ অধ্যায়ের নাম হল - 

    1. অর্জুন বিষাদ-যোগ, 2. সাংখ্য যোগ, 3. কর্ম যোগ, 4. জ্ঞান যোগ, 5. সন্ন্যাস-যোগ, 6. ধ্যানযোগ, 7. জ্ঞান-বিজ্ঞানযোগ, 8. অক্ষরব্রহ্মযোগ, 9. রাজবিদ্যা-রাজগুহ্য যোগ, 10. বিভূতি যোগ, 11. বিশ্বরূপ দর্শন যোগ, 12. ভক্তিযোগ, 13. ক্ষেত্র-ক্ষেত্রজ্ঞ-বিভাগ, 14. যোগগুণত্রয়-বিভাগ-যোগ, 15. পুরুষোত্তম-যোগ, 16. দৈবাসুর-সম্পদ-বিভাগযোগ, 17. শ্রদ্ধাত্রয়-বিভাগ-যোগ, 18. মোক্ষযোগ


    গীতা ১৮ অধ্যায় | গীতা পাঠ বাংলা অনুবাদ | গীতা অধ্যায় 

    গীতা ১৮ অধ্যায় সহ গীতা পাঠ বাংলা অনুবাদ | গীতা অধ্যায় ঃ- 

    গীতা ৭০০টি শ্লোক নিয়ে ১৮টি অধ্যায়ে বিভক্ত।

    ১ অর্জুন বিষাদ-যোগ:

    কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গনে সেনা-পর্যবেক্ষণ: রণাঙ্গনে প্রতীক্ষমাণ সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হয়ে, মহাযোদ্ধা অর্জুন উভয় পক্ষের সৈন্যসজ্জার মধ্যে সমবেত তার অতি নিকট আত্মীয়-পরিজন, আচার্যবর্গ ও বন্ধু-বান্ধবদের সকলকে যুদ্ধে প্রস্তুত হতে এবং জীবন বিসর্জনে উন্মুখ হয়ে থাকতে দেখেন। শোকে ও দুঃখে তার মন মোহাচ্ছন্ন হল এবং তিনি যুদ্ধ করার সংকল্প পরিত্যাগ করেন।


    ২ সাংখ্য যোগ 

    কৃষ্ণের কাছে তার শিষ্যরূপে অর্জুন আত্মসমর্পণ করেন এবং অনিত্য জড় দেহ ও শাশ্বত চিন্ময় আত্মার মূলগত পার্থক্য নির্ণয়ের মাধ্যমে অর্জুনকে কৃষ্ণ উপদেশ প্রদান করতে শুরু করেন। দেহান্তর প্রক্রিয়া, পরমেশ্বরের উদ্দেশ্যে নিঃস্বার্থ সেবার প্রকৃতি এবং আত্মজ্ঞানলব্ধ মানুষের বৈশিষ্ট্যাদি সম্পর্কে কৃষ্ণ ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন।


    ৩ কর্ম যোগ

    এই জড় জগতে প্রত্যেককেই কোনও ধরনের কাজে নিযুক্ত থাকতে হয়। কিন্তু কর্ম সকল মানুষকে এই জগতের বন্ধনে আবদ্ধ করতেও পারে, আবার তা থেকে মুক্ত করে দিতেও পারে। স্বার্থচিন্তা ব্যতিরেকে, পরমেশ্বরের সন্তুষ্টি বিধানের উদ্দেশ্যে কাজের মাধ্যমে, মানুষ তার কাজের প্রতিক্রিয়া জনিত কর্মফলের বিধিনিয়ম থেকে মুক্তি পেতে পারে এবং আত্মতত্ত্ব ও পরমতত্ত্ব দিব্যজ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হয়।


    ৪ জ্ঞান যোগ

    আত্মার চিন্ময় তত্ত্ব, ভগবৎ-তত্ত্ব এবং ভগবান ও আত্মার সম্পর্ক -এই সব অপ্রাকৃত তত্ত্বজ্ঞান বিশুদ্ধ ও মুক্তিপ্রদায়ী। এই প্রকার জ্ঞান হচ্ছে নিঃস্বার্থ ভক্তিমূলক কর্মের (কর্মযোগ) ফলস্বরূপ। পরমেশ্বর ভগবান গীতার সুদীর্ঘ ইতিহাস, জড় জগতে যুগে যুগে তার অবতরণের উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য এবং আত্মজ্ঞানলব্ধ গুরুর সান্নিধ্য লাভের আবশ্যকতা ব্যাখ্যা করেছেন।


    ৫ সন্ন্যাস-যোগ

    বহিঃবিচারে সকল কর্তব্যকর্ম সাধন করলেও সেগুলির কর্মফল পরিত্যাগ করার মাধ্যমে, জ্ঞানবান ব্যক্তি পারমার্থিক জ্ঞানতত্ত্বের অগ্নিস্পর্শে পরিশুদ্ধি লাভ করে থাকেন, ফলে শান্তি, নিরাসক্তি, চিন্ময় অন্তর্দৃষ্টি এবং শুদ্ধ আনন্দ লাভ করেন।


    ৬ ধ্যানযোগ

    নিয়মতান্ত্রিক ধ্যানচর্চার মাধ্যমে অষ্টাঙ্গযোগ অনুশীলন মন ও ইন্দ্রিয় আদি দমন করে এবং অন্তর্যামী পরমাত্মার চিন্তায় মনকে নিবিষ্ট রাখে।এই অনুশীলনের পরিণামে পরমেশ্বরের পূর্ণ ভাবনারূপ সমাধি অর্জিত হয়।


    ৭ জ্ঞান-বিজ্ঞানযোগ

    পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন পরমতত্ত্ব, সর্বকারণের পরম কারণ এবং জড় ও চিন্ময় সর্ববিষয়ের প্রাণশক্তি। উন্নত জীবাত্মাগণ ভক্তি ভরে তার কাছে আত্মসমর্পণ করে থাকেন, পক্ষান্তরে অধার্মিক জীবাত্মারা অন্যান্য বিষয়ের ভজনায় তাদের মন বিক্ষিপ্ত করে থাকে।


    ৮ অক্ষরব্রহ্মযোগ

    আজীবন কৃষ্ণের চিন্তার মাধ্যমে এবং বিশেষ করে মৃত্যুকালে তাকে স্মরণ করে, মানুষ জড় জগতের ঊর্ধ্বে ভগবানের পরম ধাম লাভ করতে পারে।


    ৯ রাজবিদ্যা-রাজগুহ্য যোগ 

    কৃষ্ণ হচ্ছেন পরমেশ্বর ভগবান এবং পরমারাধ্য বিষয়। অপ্রাকৃত ভগবত-সেবার মাধ্যমে জীবাত্মা মাত্রই তার সাথে নিত্য সম্বন্ধযুক্ত। মানুষের শুদ্ধ ভক্তি পুনরুজ্জীবিত করার ফলে শ্রীকৃষ্ণের পরম ধামে প্রত্যাবর্তন করা সম্ভব।


    ১০ বিভূতি যোগ

    জড় জগতের বা চিন্ময় জগতের শৌর্য, শ্রী, আড়ম্বর, উতকরশ-সমস্ত ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বিষয় কৃষ্ণের দিব্য শক্তি ও পরম ঐশ্বর্যাবলির আংশিক প্রকাশ মাত্র অভিব্যক্ত হয়ে আছে। সর্বকারণের পরম কারণ, সর্ববিষয়ের আশ্রয় ও সারাতিসার রূপে কৃষ্ণ সর্বজীবেরই পরমারাধ্য বিষয়।


    ১১ বিশ্বরূপ দর্শন যোগ 

    কৃষ্ণ অর্জুনকে দিব্যদৃষ্টি দান করেন এবং সর্বসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষক তার অনন্ত বিশ্বরূপ প্রকাশ করেন। এভাবেই তিনি তার দিব্যতত্ত্ব অবিসংবাদিতভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। কৃষ্ণ প্রতিপন্ন করেছেন যে, তার স্বীয় অপরূপ সৌন্দর্যময় মানবরূপী আকৃতিই ভগবানের আদিরূপ। একমাত্র শুদ্ধ ভগবত-সেবার মাধ্যমেই মানুষ এই রূপের উপলব্ধি অর্জনে সক্ষম।

    ১২ ভক্তিযোগ

    চিম্নয় জগতের সর্বোত্তম প্রাপ্তি বিশুদ্ধ কৃষ্ণপ্রেম লাভের পক্ষে ভক্তিযোগ বা কৃষ্ণের উদ্দেশ্য শুদ্ধ ভক্তি হচ্ছে সর্বোত্তম পন্থা। যারা এই পরম পন্থার বিকাশ সাধনে নিয়োজিত থাকেন, তারা দিব্য গুণাবলীর অধিকারী হন।


    ১৩ ক্ষেত্র-ক্ষেত্রজ্ঞ-বিভাগ যোগ

    দেহ, আত্মা এবং উভয়েরও ঊর্ধ্বে পরমাত্মার পার্থক্য যিনি উপলব্ধি করতে পারেন, তিনিই এই জড় জগৎ থেকে মুক্তি লাভে সক্ষম হন।


    ১৪ গুণত্রয়-বিভাগ-যোগ

    সমস্ত দেহধারী জীবাত্মা মাত্রই সত্ত্ব, রজ ও তম—জড়া প্রকৃতির এই ত্রিগুণের নিয়ন্ত্রণাধীন। পরমেশ্বর কৃষ্ণ এই ত্রিগুণাবলির স্বরূপ, আমাদের ওপর সেগুলির ক্রিয়াকলাপ, মানুষ কিভাবে সেগুলিকে অতিক্রম করে এবং যে মানুষ অপ্রাকৃত স্তরে অধিষ্ঠিত তার লক্ষণাবলী ব্যাখ্যা করেছেন।


    ১৫ পুরুষোত্তম-যোগ

    বৈদিক জ্ঞানের চরম উদ্দেশ্য হচ্ছে জড়-জাগতিক বন্ধন থেকে মানুষের মুক্তি লাভ এবং পরম পুরুষোত্তম ভগবানরূপে কৃষ্ণকে উপলব্ধি করা। যে মানুষ কৃষ্ণের পরম স্বরূপ উপলব্ধি করে, সে তার কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং ভক্তিমূলক সেবায় আত্মনিয়োগ করে।


    ১৬ দৈবাসুর-সম্পদ-বিভাগযোগ

    যারা আসুরিক গুণগুলি অর্জন করে এবং শাস্ত্রবিধি অনুসরণ না করে যথেচ্ছভাবে জীবন যাপন করে থাকে, তারা হীনজন্ম ও ক্রমশ জাগতিক বন্ধনদশা লাভ করে। কিন্তু যারা দিব্য গুণাবলির অধিকারী এবং শাস্ত্রীয় অনুশাসনাদি মেনে বিধিবদ্ধ জীবন যাপন করেন, তারা ক্রমান্বয়ে পারমার্থিক সিদ্ধিলাভ করেন।


    ১৭ শ্রদ্ধাত্রয়-বিভাগ-যোগ

    জড় প্রকৃতির ত্রিগুণাবলির থেকে উদ্ভূত এবং সেগুলির বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী শ্রদ্ধা তিন ধরনের হয়ে থাকে। যাদের শ্রদ্ধা রাজসিক ও তামসিক, তারা নিতান্তই অনিত্য জড়-জাগতিক ফল উৎপন্ন করে। পক্ষান্তরে, শাস্ত্রীয় অনুশাসন আদি মতে অনুষ্ঠিত সত্ত্বগুণময় কার্যাবলি হৃদয়কে পরিশুদ্ধ করে এবং পরিণামে পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের প্রতি শুদ্ধ ভক্তি-শ্রদ্ধার পথে মানুষকে পরিচালিত করে ভক্তিভাব জাগ্রত করে তোলে।


    ১৮ মোক্ষযোগ 

    কৃষ্ণ ব্যাখ্যা করেছেন ত্যাগের অর্থ এবং মানুষের ভাবনা ও কার্যকলাপের উপর প্রকৃতির গুণাবলির প্রতিক্রিয়াগুলি কেমন হয়। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন ব্রহ্ম উপলব্ধি, ভগবদগীতার মাহাত্ম্য ও গীতার চরম উপসংহার- ধর্মের সর্বোচ্চ পন্থা হচ্ছে পরমেশ্বর কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ, যার ফলে সর্বপাপ হতে মুক্তি লাভ হয়, সম্যক জ্ঞান-উপলব্ধি অর্জিত হয় এবং শাশ্বত চিন্ময় পরম ধামে প্রত্যাবর্তন করা যায়।

    Source: wikipedia.org



    গীতার বাণী


    ১) ১৩ডিসেম্বর গীতা জয়ন্তী পালিত হয়৷ কথিত আছে, ভগবান সবসময়ই মানুষের সহায়ে থাকে৷ মানুষের চিন্তাভাবনা, আবেগ, নিশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গে জড়িত থাকে সেটি৷

    ২) অন্যের ভাগ্যকে নকল না করে নিজের খারাপ ভাগ্য নিয়েই চলার চেষ্টা করুন৷ সেটি অনেক বেশি বাঞ্ছনীয়৷

    ৩) যখন কাউকে কোনও পুরস্কার দেবেন৷ তখন সেটি মন থেকে দেওয়ার চেষ্টা করুন৷ সঠিক স্থানে সঠিক পুরস্কার দেওয়া উচিত৷ কিন্তু কখনও কারোর কাছ থেকে পুরস্কার ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করবেন না৷

    ৪) যে তার নিজের সংকল্পে দৃঢ় থাকে সে সহজেই যন্ত্রনা জয় করে সুখ স্বর্গরাজ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয় এবং নিজের আত্মার সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করতে সক্ষম হয়৷

    ৫) ভালো কাজ কখনও বিফলে যাবেনা আপনার৷

    ৬) যে কাজটিতে ব্যর্থ হবেন সেটি বারংবার চেষ্টা করুন নতুন করে নয়া উদ্যমে তৈরি করার৷ একদিন না একদিন আপনি সাফল্য পাবেনই৷

    ৭) নিজের মন এবং আত্মাকে শুদ্ধ রাখুন৷ লোভ থেকে বিরত থাকুন৷

    ৮) চিন্তাভাবনা আরও বেশি বড় করার চেষ্টা করুন৷ আপনার নিজের যা জ্ঞান রয়েছে৷ সেটির মাধ্যমেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করুন৷ অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হবেন না৷



    Tags: গীতার সারাংশ বাংলায় অনুবাদ, গীতা পাঠ বাংলা অনুবাদ, ভগবত গীতা বাংলা অনুবাদ, গীতার শ্লোক বাংলা অনুবাদ, গীতার সারাংশ pdf, শ্রীমৎ ভাগবত গীতা ১৮ অধ্যায়, শ্রীমদ্ভাগবত বাংলা pdf, গীতার বাণী, গীতা বাংলা অনুবাদ, গীতা পাঠ বাংলা অনুবাদ, ভগবত গীতা বাংলা অনুবাদ, গীতার সারাংশ বাংলায় অনুবাদ, গীতা পাঠ বাংলা অনুবাদ সহ, শ্রীমদ্ভাগবত গীতা বাংলা অনুবাদ, ভগবত গীতা বাংলা, গীতা ১৮ অধ্যায়, শ্রীমদ্ভাগবত গীতার সারাংশ ও গীতা পাঠ ও গীতার শ্লোক বাংলা অনুবাদ সহ, শ্রীমদ্ ভগবত গীতার সারাংশ বাংলায় অনুবাদ, গীতার শ্লোক বাংলা অর্থ সহ, গীতার বাণী, গীতার ব্যাখ্যা, গীতা অধ্যায়, গীতার মাহাত্ম্য, গীতার সারাংশ pdf, ভগবত গীতা বাংলা অনুবাদ pdf, গীতার আঠারোটি নাম, গীতার নাম সমূহ, গীতার ১৮ অধ্যায়ের নাম, ভগবত গীতা বাংলা





    Comments

    1. আরে মিথ্যাবাদি ১৪ নাম্বার কোথায়? আঠারোটি অধ্যায় আছে গীতায়, আঠারোটা নাম না। যা তা ইচ্ছামতো লিখলে হবে না। হরে কৃষ্ণ।

      ReplyDelete
      Replies
      1. আপনার সঙ্গে তর্ক করা ও গীতা বিষয়ক মিথ্যা তথ্য প্রচার করা আমার কাম্য নয়। আমি আদ্দ-প্রান্ত দেখে শুনে তবে ইন্টারনেট এ শেয়ার করি। তবু আপনার কথার খাতিরে আর একটি ছোট তথ্য দিলাম....

        শ্রী শ্রীগীতা মাহাত্ম্যম্ অংশে দেখা যায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সর্বপাপ নাশকারী গীতার নামাবলী প্রকাশ করেছেন,

        গঙ্গা গীতা চ সাবিত্রী সীতা সত্যা পতিব্রতা।

        ব্রাহ্মাবলির্ব্রহ্মবিদ্যা ত্রিসন্ধ্যা মুক্তিগেহিনী।।৪৯।।

        অর্ধমাত্রা চিতানন্দা ভবঘ্নী ভ্রান্তিনাশিনী।

        বেদত্রয়ী পরানিন্দা তত্ত্বার্থ জ্ঞানমঞ্জরী।। ৫০।।


        হরে কৃষ্ণ ...............

        Delete

    Post a Comment

    Please Leave a Comment ! Thank You.....