গীতার শ্লোক বাংলা অর্থ সহ pdf download - Bong Source
জানুন গীতার শ্লোক অর্থ সহ pdf download কিভাবে করবেন। গীতার শ্লোক বাংলা অর্থ সহ সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা জানবেন আমদের এই ব্লগে।
গীতার শ্লোক বাংলা অর্থ সহ
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা হিন্দু ধর্মের অন্যতম পবিত্র গ্রন্থ, যা মহাভারতের ভীষ্ণু পুরাণের একটি অংশ। গীতা ১৮টি অধ্যায় এবং ৭০০টি শ্লোকের সমন্বয়ে গঠিত, যা প্রধানত শ্রীকৃষ্ণ এবং অর্জুনের মধ্যকার সংলাপ। এই শ্লোকগুলির মধ্যে পৃথিবীজীবনের সকল প্রাসঙ্গিক দিক যেমন কর্ম, ভক্তি, জ্ঞান, দুঃখ, এবং মুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আজকের ব্লগ পোস্টে আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ গীতার শ্লোকের বাংলা অর্থ এবং তাদের বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করব।
শ্লোক: "কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন | মা কর্মফলহেতুর্ভূর্মা তোংগোং কর্মণি সমাচর।"
বাংলা অর্থ: "তুমি শুধু কর্মের প্রতি অধিকারী, কিন্তু তার ফলাফলের প্রতি কখনো অধিকারী নও। তাই কর্মফল সম্পর্কে চিন্তা না করে, নির্দ্বিধায় কর্ম কর।"
ব্যাখ্যা: এটি গীতার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক যেখানে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে কর্মের প্রতি নিবেদিত থাকার পরামর্শ দেন। আমরা জীবনে যে কাজই করি, তার ফলাফল আমাদের হাতে নেই। আমাদের উচিত শুধু সৎভাবে কর্ম করা এবং তার ফলাফল আল্লাহ বা ঈশ্বরের হাতে ছেড়ে দেওয়া। যখন আমরা ফলাফলের প্রতি অতি মনোযোগী হই, তখন তা আমাদের মনে উদ্বেগ ও দুঃখ সৃষ্টি করতে পারে। গীতায় এটি শেখানো হয়েছে যে, সঠিক মনোভাব এবং নির্দ্বিধায় কাজ করা আমাদের আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয়।
শ্লোক ৩.১৬ (Chapter 3, Verse 16)
শ্লোক: "এবং যিনি এই পৃথিবীতে ব্রহ্মের আদেশ অনুসরণ করেন, এবং যথাযথভাবে কর্ম করে, তিনি কর্মের ফল লাভ করেন।"
বাংলা অর্থ: "যে ব্যক্তি সৃষ্টির আদেশ অনুযায়ী কর্ম সম্পাদন করে, সে কর্মের ফল লাভ করে।"
ব্যাখ্যা: এটি শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশ, যেখানে তিনি জানাচ্ছেন যে, সৃষ্টির আদেশ এবং প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে ব্যক্তি এই আধ্যাত্মিক আদেশ মেনে চলে এবং নিয়মিতভাবে সৎ কর্ম সম্পাদন করে, তার জীবনে সাফল্য আসে এবং সে আধ্যাত্মিক উচ্চতা অর্জন করতে সক্ষম হয়।
শ্লোক ৪.৭ (Chapter 4, Verse 7)
শ্লোক: "যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত | অব্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মানমৃজম্যহম।"
বাংলা অর্থ: "যতবার ধর্মের অবক্ষয় হবে এবং অধর্মের বৃদ্ধি হবে, ততবার আমি স্বীয় অবতারে পৃথিবীতে আসব।"
ব্যাখ্যা: এই শ্লোকের মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণ জানাচ্ছেন যে, পৃথিবীতে যখন ধর্মের অবক্ষয় বা অধর্মের বৃদ্ধির পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখন তিনি অবতার গ্রহণ করেন এবং পৃথিবীতে এসে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন। এই শ্লোকটি পৃথিবীতে ধর্ম রক্ষার জন্য ঈশ্বরের অবতার ধারণের তাৎপর্য বোঝায়।
শ্লোক ১৮.৬৬ (Chapter 18, Verse 66)
শ্লোক: "সরভধর্মান পরিত্যজ্জা মাম একম শরণং ব্রজ | অহং ত্বাম সর্বপাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচঃ।"
বাংলা অর্থ: "তুমি সব ধরনের ধর্মের প্রতি ছেড়ে আমার কাছে একমাত্র শরণাগত হও। আমি তোমাকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি দেব এবং তুমি কোনো দুঃখ পাবে না।"
ব্যাখ্যা: এটি গীতার সর্বশেষ শ্লোক, যেখানে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে জানাচ্ছেন যে, সকল ধর্মের পরিত্যাগ করে, একমাত্র তাঁর শরণে আসা সর্বোত্তম উপায়। যখন আমরা ঈশ্বরের পূর্ণ শরণে যাই এবং তাঁর নির্দেশ মেনে চলি, তখন আমরা সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি লাভ করি। এই শ্লোকটি আত্মসমর্পণের গুরুত্ব এবং ঈশ্বরের করুণার প্রতি বিশ্বাস নির্দেশ করে।
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা শুধুমাত্র ধর্মীয় গ্রন্থ নয়, এটি জীবনের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং মনোভাব পরিবর্তন করার একটি চিরন্তন শিক্ষা। এর প্রতিটি শ্লোক আমাদের মানবিকতা, আধ্যাত্মিকতার, এবং জীবনযাত্রার দিক থেকে মূল্যবান পাঠ দেয়। শ্রীকৃষ্ণের শিখানো এই মহান দিকনির্দেশনা আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করলে, আমরা শান্তি, সুখ, এবং উন্নতির পথ খুঁজে পাব।
আরে মিথ্যাবাদি ১৪ নাম্বার কোথায়? আঠারোটি অধ্যায় আছে গীতায়, আঠারোটা নাম না। যা তা ইচ্ছামতো লিখলে হবে না। হরে কৃষ্ণ।
আপনার সঙ্গে তর্ক করা ও গীতা বিষয়ক মিথ্যা তথ্য প্রচার করা আমার কাম্য নয়। আমি আদ্দ-প্রান্ত দেখে শুনে তবে ইন্টারনেট এ শেয়ার করি। তবু আপনার কথার খাতিরে আর একটি ছোট তথ্য দিলাম....
শ্রী শ্রীগীতা মাহাত্ম্যম্ অংশে দেখা যায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সর্বপাপ নাশকারী গীতার নামাবলী প্রকাশ করেছেন,
গঙ্গা গীতা চ সাবিত্রী সীতা সত্যা পতিব্রতা।
ব্রাহ্মাবলির্ব্রহ্মবিদ্যা ত্রিসন্ধ্যা মুক্তিগেহিনী।।৪৯।।
অর্ধমাত্রা চিতানন্দা ভবঘ্নী ভ্রান্তিনাশিনী।
বেদত্রয়ী পরানিন্দা তত্ত্বার্থ জ্ঞানমঞ্জরী।। ৫০।।
হরে কৃষ্ণ ...............