ঘুঘু পাখির বৈশিষ্ট্য, দাম, লক্ষন, ও পদ্ধতি - Bong Source
আজকে জানবো ঘুঘু পাখি শুভ না অশুভ, ঘুঘু পাখির দাম কত, ঘুঘু পাখির বৈশিষ্ট্য, ঘুঘু পাখির ডিম কত দিনে ফোটে, ঘুঘু পাখি ডিম পাড়ার লক্ষণ, ঘুঘু পাখির খাবার, ঘুঘু পাখির বাচ্চার খাবার, অস্ট্রেলিয়ান ঘুঘু পাখির খাবার, ঘুঘু পাখির প্রিয় খাবার কি, ঘুঘু পাখি নর মাদি চেনার উপায়,ঘুঘু পাখির বৈশিষ্ট্য
ঘুঘু পাখি শুভ না অশুভ
ঘুঘু পাখি হল অশুভ
ঘুঘু পাখির দাম কত
ঘুঘু পাখির দাম হল :-
১ জোড়া ঘুঘুর বাচ্চা। বয়স ১.৫ মাস - দাম ৬০০ টাকা।
১ জোড়া রানিং বাচ্চা এবং ফুল সেটাপ সহ - দাম ২০০০ টাকা।
১ জোড়া রানিং ডিম ও ফুলসেটাপ সহ - দাম ১৩০০টাকা।
১ টা সিঙ্গেল মাদী। নর উরে গেছে। সাথে ডিম আছে - দাম ৬০০ টাকা।
ঘুঘু পাখির ডিম কত দিনে ফোটে
ঘুঘু পাখির ডিম ফোটে - ৬ মাস বয়স হলেই ডিম পাড়া শুরু করে। কখনও কখনও এর ব্যতিক্রম হয়ে ৮ মাস লেগে যায়।
ঘুঘু পাখি ডিম পাড়ার লক্ষণ
এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত এদের প্রজননের উপযুক্ত সময়।তাই এই সময় ঘুঘু পাখি ডিম পাড়ার লক্ষণ।
ঘুঘু পাখি নর মাদি চেনার উপায়
সাধারণত পুরুষ ঘুঘু সুরেলা কন্ঠে শান্ত গলায় ডাক পাড়ে। ডাকের আওয়াজ থেকে নাম হয়তো এদের নাম হয়েছে “ঘুঘু”। আমাদের দেশে যত ধরনের ঘুঘু দেখা যায়, তার মধ্যে সবুজ ঘুঘুই (Chalcophaps indica) সবচেয়ে সুন্দর। ঘুঘু ছায়াঘেরা খুব সকালে ও বিকেল বেলার দিকে খাবার খুঁজে বেড়ায়। বাকি পুরো সময় বৃক্ষডালে বসে সময় কাটায়। ঘুঘু খুব দ্রুতবেগে উড়তে পারে।
ঘুঘু পাখির বৈশিষ্ট্য
ঘুঘু মুলত পায়রা জাতের পাখী। এদের বাগানে, মাঠে ,ঘাটে সর্বত্র দেখা যায়। ঘুঘুর বৈজ্ঞানিক নাম– Streptopelia chinensis । ঘুঘু ও কবুতর কলম্বিডি পরিবারের অন্তরভুক্ত। এই শ্রেণীতে পাখি আছে ৩১০ প্রজাতির। পৃথিবীতে শুধু ঘুঘুর প্রজাতি রয়েছে প্রায় ৩৬টি। তার মধ্যে বাংলাদেশে পাওয়া যায় ৬টি প্রজাতির।
সাধারণত আমাদের দেশে যেটি দেখা যায় সেটি তিলাঘুঘু। এদের পালকের রং বুকের নিচে ধূসর, পিঠ বাদামি, গলায় কালোর মধ্যে সাদা ফোঁটা ফোঁটা। ঠোট বাদামী কালো। লম্বায় সাধারণত ঘুঘুর আকার ২৮ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে ।এদের লেজ বেশ লম্বা।
তেমনি বিদেশি জাতের একটি ঘুুঘুর নাম "গ্রে ডায়মন্ড ডাভ’। এরা ছোট আকারের অস্ট্রেলিয়ান ঘুঘু। ওজন ২৩ থেকে ৩২ গ্রাম হয়। লম্বায় ১৯৩ থেকে ২১৩ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়। শিশু অবস্থায় এদের গায়ের রং থাকে ধূসর। পূর্ণ বয়স্ক হলে ডানার রং সাদায় পরিবর্তিত হয়। চোখ জুড়ে কমলা রংয়ের বৃত্ত তৈরি হয়।
একটি পূর্ণ বয়স্ক ঘুঘু যখন ডিম উৎপাদনে উপযোগী হয় তখন চোখের বৃত্ত ছোট হয়। ধূসর বর্ণের পুরুষ ঘুঘুর চোখের বৃত্তের রং হয় কমলা অথবা লাল। পরিধি ২-৩ মিলিমিটার পর্যন্ত। স্ত্রী ঘুঘুর রং বাদামি ধূসর রংয়ের, চোখের বৃত্ত ১ মিলিমিটার পর্যন্ত পুরু হয়। এই ঘুঘু সাধারণত ১০ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত বাঁচে। অনেক ক্ষেত্রে ২১ বছর পর্যন্তও টিকে থাকে।
ঘুঘু পাখির খাবার | ঘুঘু পাখির বাচ্চার খাবার | অস্ট্রেলিয়ান ঘুঘু পাখির খাবার | ঘুঘু পাখির প্রিয় খাবার কি
ঘুঘু পাখি সব দরনের খাবার খায় না, ঘুঘু পাখিকে কি খাবার খাওয়ালে তাদের শরীলে তারা শক্তি পাবে সেটা সম্পর্কেই আমরা জানবো।
১ ভূট্টা : বেশির ভাগ পশু ডাক্তার বলে থাকেন ভুট্টা ঘুঘু পাখির জন্য অনেক বেশি উপকারি। তাই আপনারা ঘুঘু পাখির খাবারে ভূট্টা রাখার চেষ্টা করবেন।
২.তিল : আমার বেশির ভাগ মানুষ তিল চিনে থাকি, আপনারা না চিনলে বাইন্নার দোকানে গিয়ে তিল দিতে বলবেন। তিল ঘুঘু পাখির সাস্থ ভালো রাখে আর শক্তি বৃদ্ধি করে।
৩. গম : যারা ঘুঘু পাখি পালেন তাদের ভিতর ৬০% মানুষ এই গম খাওয়ায় ঘুঘু পাখিকে। আপনারাও চাইলে এই গম খাওয়াতে পারেন এতেও উপকার রয়েছে।
৪. ধান : ধান ঘুঘু পাখির শরীলের জন্য তেমন উপকার নয়, কিন্তু টাকা কম থাকলে মানুষ এই ধান খাওয়ায়। আপনার যদি টাকা কম থাকে তাহলে ধান খাওয়াতে পারেন।
ঘুঘু পাখির পালন পদ্ধতি
আমরা অনেকেই ঘুঘু পাখি সঠিক নিয়মে পালন করতে পারি না, আর সঠিক নিয়মে আপনি পালন না করতে পারলে আপনার ঘুঘু পাখি ঠিও মতো ডিম দিবে না ঠিক মতো খাবার খাবে না।
আমরা অনেকেই ছোট খাচার ভিতরে ঘুঘু পাখি পালন করি, কিন্তু আপনারা এই কাজটি করবেন না। আপনাদের আমি একটা কথাই বলেতে চাই আপনারা
কাঠের খাচা বড় করে বানাবেন জেনো ঘুঘু পাখি একটু উড়তে পারে এই দিক থেকে সেই দিকে। আর আপনার ঘুঘু পাখি যদি এই দিক থেকে সেই দিকে নরাচরা করতে পারে তখন তার মন ভালো থাকে ঠিক মতো খাবার খায় এবং কি ডিম পারতেও কোন সমস্যা হয় না।
ঘুঘু পাখিকে আপনারা বেশি ঠান্ডা যায়গায় রাখবেন না, ঘুঘু পাখি একটু গরম যায়গায় থাকতে পছন্দ করেন। ঘুঘু পাখির খাচায় আপনারা হলুদ রং এর লাইট লাগিয়ে রাখবেন ১ টা। তাহলে আপনার পাখি সুরক্ষিত থাকবে।
Comments
Post a Comment
Please Leave a Comment ! Thank You.....