কিভাবে অপারেশন ছাড়াই পিত্তথলির পাথর অপসারণ করবেন - Bong Source
আজকে জানবো যে কিভাবে অপারেশন ছাড়া গলব্লাডার পাথর অপসারণ করতে বা কিভাবে অপারেশন ছাড়াই পিত্তথলির পাথর অপসারণ করবেন? এই ব্লগে আজ কিভাবে অপারেশন ছাড়াই পিত্তথলির পাথর অপসারণ করা যাই এই উত্তর ই দেব। আর জানবো বাংলাদেশে পিত্তথলির পাথর অপারেশনের খরচ ও গলব্লাডারে পাথর হলে কি খেলে ভালো হবে। এই সব প্রশ্নের উত্তর আজ আপনারা পাবেন।
তাহলে চলুন দেখা যাক আজকের প্রশ্ন – ১. কিভাবে অপারেশন ছাড়া গলব্লাডার পাথর অপসারণ করতে বা কিভাবে অপারেশন ছাড়াই পিত্তথলির পাথর অপসারণ করবেন মানে কিভাবে অপারেশন ছাড়াই পিত্তথলির পাথর অপসারণ করা যাই। ২. বাংলাদেশে পিত্তথলির পাথর অপারেশনের খরচ ৩. গলব্লাডারে পাথর হলে কি খেলে ভালো হবে
প্রথম প্রশ্ন - কিভাবে অপারেশন ছাড়াই পিত্তথলির পাথর অপসারণ করবেন?
উত্তর -
কিছু ওষুধ রয়েছে যা দিয়ে অপারেশন ছাড়াই পিত্তথলির পাথর অপসারণ করা বা পিত্তথলির পাথর গলানো সম্ভব। পিত্তথলির পাথর সাধারণত তিন প্রকারের...
১. কোলেস্টেরল স্টোন
২. পিগমেন্ট স্টোন
৩. মিক্সড স্টোন
কিভাবে অপারেশন ছাড়াই পিত্তথলির পাথর অপসারণ করার জন্য আরসোডিঅক্সিকোলিক এসিড নামে যে ওষুধটি পিত্তথলির পাথর গলানোতে বা পিত্তথলির পাথর অপসারণ করতে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে সেটা তিন উপায়ে কাজ করে...
১. কোলেস্টেরল এর নিঃসরণ কমায়
২. কোলেস্টেরল এর শোষণ কমায়
৩. কোলেস্টেরল এর গলানো বৃদ্ধি করে
সর্বোপরি কোলেস্টেরল স্টোন এর জমাট বাঁধতে নিরুৎসাহিত করে।
ভাল ফলাফল পেতে অর্থাৎ কিভাবে অপারেশন ছাড়া গলব্লাডার পাথর অপসারণ করতে রোগীকে অবশ্যই সমঝদার হতে হবে এবং কমপক্ষে দুই বছরের জন্য ওষুধটি সেবন করতে হবে।
আলট্রাসনোগ্রফিতে দেখে নিতে হবে সিস্টিক ডাক্টটি কার্যক্ষম এবং পিত্তথলিটি ফাংশনিং রয়েছে। পাথরটি রেডিওলুসেন্ট ও ভাসমান রয়েছে। পাথর যেন ১৫ মিমি. এর কম আকৃতির হয় এবং সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায় যদি পাথরের আকৃতি ৫ মিমি. এর কম থাকে।
আর যেসব পাথরের ক্যালসিয়াম উপাদান কম থাকে সেই পাথরগুলোই দ্রুততম সময়ে গলে যায়। বিপত্তি হলো আলট্রাসাউন্ড বা সিটি স্ক্যান মেশিনের সাহায্যে এই ধরনের পাথরকে সুচারুরূপে সংজ্ঞায়িত করা।
কিভাবে অপারেশন ছাড়াই পিত্তথলির পাথর অপসারণ করবেন এ ধরণের চিকিৎসায় সফলতার হার...
পাথরের আকৃতি যদি < ৫ মিমি. হয় তাহলে প্রায় শতভাগ গলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে,
আর পাথরের আকৃতি যদি < ২০ মিমি. হয় সেক্ষেত্রে গলে যাওয়ার সম্ভাবনা ৪০ থেকে ৬০ ভাগ।
বড় আকৃতির ও অভাসমান পাথর গলতে আরও অধিকতর সময় লাগতে পারে কিংবা কখনোই আর নাও গলতে পারে।
কিভাবে অপারেশন ছাড়া গলব্লাডার পাথর অপসারণ করতে এ ধরণের চিকিৎসায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে পাথরের জন্য যে পেটে ব্যথা তা কমে যায়।
পাথর জমে যাওয়ার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে ২৫ থেকে ৫০ ভাগ ক্ষেত্রে বিশেষ করে প্রথম দুই বছরের মধ্যে কিন্তু তিন বছর পরে আর এরকমটি ঘটে না।
পাথর জমে যাওয়ার পুনরাবৃত্তি ঘটে সাধারণত একাধিক কোলেস্টেরল পাথর থাকলে।
কিভাবে অপারেশন ছাড়া গলব্লাডার পাথর অপসারণ করতে এই ধরণের চিকিৎসায় পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া তেমন নেই বললেই চলে।
দ্বিতীয় প্রশ্ন - বাংলাদেশে পিত্তথলির পাথর অপারেশনের খরচ কত ?
উত্তর –
এটা রোগীর অবস্থা অপারেশন এর ধরণ ও ওষুধ পত্র ব্যায়ের উপর ধারণ করে বলা সম্ভব। আমার মতে কোন একটা হাসপাতাল/ ক্লিনিক এর কাউকে জিজ্ঞাসা করলে আপনি সঠিক উত্তর পাবেন। তবে মোটামুটি ১ লাখ টাকার আসে পাশে পরবে এই বাংলাদেশে পিত্তথলির পাথর অপারেশনের খরচ।
তৃতীয় প্রশ্ন - গলব্লাডারে পাথর হলে কি খেলে ভালো হবে?
উত্তর –
গলব্লাডারে পাথর হলে কি খেলে ভালো হবে এই প্রশ্ন টির উত্তর নিছে দেওয়া হল । গলব্লাডারে পাথর হলে নিচের খাবার গুলি খেলে ভালো হবে -
কাঁচা হলুদ খান - পেটের উপরের ডানদিকের অংশে ব্যথা অনুভব করলে খান কাঁচা হলুদ। অনেক সময় দেখা যায় খুব সিরিয়াস কিছু না হলেও পিত্তথলির ক্ষতি হতে শুরু হয়েছে। জ্বালাসমেত হওয়া ব্যথা কমাতে হলে কাঁচা হলুদ খুবই কাজ দেয়। কাঁচা হলুদে থাকা কারকুমিন নামক পদার্থটি জ্বালা ও ব্যথা দুইই কমাতে কার্যকরী। চায়ে দিয়ে এই হলুদ খেতে পারেন। পিত্তরস তৈরি করতেও হলুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। পিত্তরস না তৈরি হলে খাবার হজম হওয়া সম্ভব নয়।
পিপারমিন্ট চা - পিপারমিন্ট চা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। পেটের ব্যথা , মাথার ব্যথা দূর করতে এটি অত্যন্ত কাজ দেয়। গলব্লাডারে ব্যথা হলে সে ব্যথা কমাতে আপনি নিয়মিত খেতে পারেন পিপারমিন্ট চা। এর একটি ঠান্ডা প্রভাব আছে যা আপনাকে ব্যথা ভুলে থাকতে সাহায্য করবে।
আপেল সাইডার ভিনিগার - আপেল সাইডার ভিনিগারও ব্যথা দূর করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কাজ দেয়। এটি খুব কম দামেই বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। অথবা চাইলে তৈরি করে নিতে পিরেন বাড়িতেই। অল্প গরম জলে দুই চামচ এই ভিনিগার মিশিয়ে অল্প অল্প করে খেতে থাকুন। এটা সরাসরি খেলে এর অ্যাসিড আপনার শরীরের ক্ষতি করতে পারে। তাই গরম জলে মিশিয়েই খান। দেখবেন ব্যথা ও জ্বালা দুইই কমে গেছে।
তাছাড়া গলব্লাডারে পাথর হলে নিচের খাবার গুলিও খেতে পারেন ভালো হবে -
ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়। যেমন, শাক, সবজি, ফল, ব্রাউন রাইস, আটার রুটি, ব্রাউন ব্রেড, খোসাসহ ডাল ইত্যাদি। হজম করতে পারলে দিনে ২–৩ সার্ভিং লো–ফ্যাট দুধ বা দুধের তৈরি খাবার খান। এক সার্ভিং–এর মানে হলো ২৫০ মিলি দুধ বা এই পরিমাণ দুধে বানানো ছানা, ৫০ গ্রাম চিজ, ১৭৫ মিলিলিটার টকদই। টকদইয়ে ২ শতাংশের কম ফ্যাট থাকতে হবে। লোয়ার ফ্যাট চিজে দুধের প্রোটিন যেন ২০ শতাংশের কম থাকে। ক্রিম না খাওয়াই ভাল।
প্রতিদিন কিছু না কিছু উপকারী ফ্যাট খান। বাদাম, মাছের তেল, অ্যাভোকাডো, অলিভ অয়েল তো খাবেনই, ঘি–মাখন বা অন্য তেলও পুরোপুরি বাদ দেয়ার দরকার নেই।
দিনে ২–৩ টেবিল চামচ বা ৩০–৪৫ মিলি–র বেশি তেল খাবেন না। সপ্তাহে ৩–৪ বার ২৫ গ্রামের মতো লবণ ছাড়া বাদাম খাবেন। চিনির কোনো উপকার নেই, বরং আছে অপকার। কাজেই সব রকম মিষ্টি স্বাদের খাবার খাওয়া বন্ধ করুন।
আসা করি আপনি আপনার সমস্ত প্রশ্ন যথা কিভাবে অপারেশন ছাড়া গলব্লাডার পাথর অপসারণ করতে বা কিভাবে অপারেশন ছাড়াই পিত্তথলির পাথর অপসারণ করবেন মানে কিভাবে অপারেশন ছাড়াই পিত্তথলির পাথর অপসারণ করা যাই, বাংলাদেশে পিত্তথলির পাথর অপারেশনের খরচ , গলব্লাডারে পাথর হলে কি খেলে ভালো হবে - এর উত্তর পেয়ে গেছেন।
তাও যদি কোন প্রশ্ন থাকে নিচে কমেন্ট করে জানান ।
Tags : কিভাবে অপারেশন ছাড়া গলব্লাডার পাথর অপসারণ করতে,কিভাবে অপারেশন ছাড়াই পিত্তথলির পাথর অপসারণ করবেন,বাংলাদেশে পিত্তথলির পাথর অপারেশনের খরচ,গলব্লাডারে পাথর হলে কি খেলে ভালো হবে