একাদশীতে কি কি খাওয়া নিষিদ্ধ | একাদশীতে কি কি খাওয়া যায় - Bong Source

জানুন একাদশীতে কি কি খাওয়া নিষিদ্ধ,একাদশী কি সবাই করতে পারে,একাদশীতে কি সাবু খাওয়া যায়,একাদশীতে কি কি খাওয়া যায়,একাদশীতে কি কি খাওয়া যাবে,একাদশীতে কি চা খাওয়া যায়,একাদশীতে কি কি সবজি খাওয়া যায়,একাদশীতে কি মিষ্টি খাওয়া যায়


একাদশীতে কি কি খাওয়া নিষিদ্ধ,একাদশী কি সবাই করতে পারে,একাদশীতে কি সাবু খাওয়া যায়,একাদশীতে কি কি খাওয়া যায়,একাদশীতে কি কি খাওয়া যাবে,একাদশীতে কি চা খাওয়া যায়,একাদশীতে কি কি সবজি খাওয়া যায়,একাদশীতে কি মিষ্টি খাওয়া যায়

একাদশীতে কি কি খাওয়া নিষিদ্ধ

একাদশীতে কি কি খাওয়া নিষিদ্ধ: 

একাদশীতে কি কি খাওয়া নিষিদ্ধ

একাদশী হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ তিথি, যা বিষ্ণু ভগবানকে উৎসর্গ করা হয়। এই দিনে অনেকে উপবাস পালন করেন এবং কিছু নির্দিষ্ট খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন।

একাদশীতে সাধারণত নিষিদ্ধ খাবার:

  • ধানজাতীয় খাবার: চাল, মুড়ি, চিড়া, সুজি, পায়েস, খিচুড়ি, চালের পিঠা, খৈ ইত্যাদি।
  • গমজাতীয় খাবার: আটা, ময়দা, সুজি, বেকারির রুটি বা সকল প্রকার বিস্কুট, হরলিক্স ইত্যাদি।
  • পঞ্চরবি শস্য: ছাতু, খই, রুটি, মুগ, মাসকলাই, খেসারি, মসুরি, ছোলা, অড়হর, ফেলন, মটরশুঁটি, বরবটি ও সিম ইত্যাদি।
  • তেল: সরিষার তেল, সয়াবিন তেল, তিলের তেল ইত্যাদি।

কেন এই খাবারগুলি নিষিদ্ধ?

এই খাবারগুলি সাধারণত তামসিক বলে মনে করা হয় এবং এগুলি গ্রহণ করলে দেহ ও মন অশুচি হয়ে পড়ে বলে বিশ্বাস করা হয়। একাদশীর দিনে শুদ্ধতা বজায় রাখার জন্য এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলা হয়।

একাদশীতে কী খাওয়া যায়?

  • ফল: বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন কলা, আপেল, আঙ্গুর ইত্যাদি খাওয়া যায়।
  • সবজি: কিছু সবজি যেমন শাক, পালং শাক ইত্যাদি খাওয়া যায়।
  • দুধ ও দুগ্ধজাত পদার্থ: দুধ, দই, পনির ইত্যাদি খাওয়া যায়।
  • কুমড়ো: কুমড়ো একাদশীতে খাওয়া যায়।
  • মিষ্টি: কিছু মিষ্টি যেমন খেজুরের গুড়, মধু ইত্যাদি খাওয়া যায়।

মনে রাখবেন:

  • একাদশীর বিধি-নিষেধ সম্পর্কে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে।
  • কোনও স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে উপবাস পালন করা উচিত।

একাদশী কি সবাই করতে পারে

একাদশী কি সবাই করতে পারে:

হ্যাঁ, একাদশী ব্রত যে কেউ করতে পারেন।

একাদশী ব্রত হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাসনা। সাধারণত বিষ্ণু ভগবানকে উৎসর্গ করে এই ব্রত পালন করা হয়। যদিও একাদশী ব্রত পালনের বিধান প্রাচীনকালে বিধবা মহিলাদের জন্য বেশি ছিল, তবে বর্তমানে বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে যে কেউ এই ব্রত পালন করতে পারেন।

কেন একাদশী ব্রত পালন করা হয়?

  • ধর্মীয় বিশ্বাস: হিন্দু ধর্ম অনুসারে, একাদশী তিথিতে বিষ্ণু ভগবান বিশেষভাবে সন্তুষ্ট হন। এই দিনে উপবাস ও ভজন-কীর্তন করলে ভগবানের কৃপা পাওয়া যায়।
  • শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য: অনেকে বিশ্বাস করেন যে, একাদশী উপবাস শরীরকে বিশ্রাম দেয় এবং মানসিক শান্তি প্রদান করে।
  • আধ্যাত্মিক উন্নতি: একাদশী ব্রত পালনের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক উন্নতি হয় এবং মন একাগ্র হয়।

একাদশী ব্রত পালনের উপকারিতা:

  • শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি
  • মানসিক শান্তি
  • আধ্যাত্মিক উন্নতি
  • পাপমোচন
  • ইচ্ছাপূরণ

একাদশী ব্রত পালনের নিয়ম:

  • একাদশীর দিনে সারাদিন উপবাস করা হয়।
  • কিছু খাবার যেমন ধান, গম, তেল ইত্যাদি গ্রহণ করা নিষিদ্ধ।
  • ফল, শাকসবজি, দুধ ইত্যাদি গ্রহণ করা যায়।
  • বিষ্ণু ভগবানের পূজা করা হয়।
  • ভজন-কীর্তন করা হয়।

মনে রাখবেন:

  • কোনও স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে উপবাস পালন করা উচিত।
  • একাদশী ব্রত পালনের বিধি-নিষেধ সম্পর্কে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে।

সুতরাং, একাদশী ব্রত সকলের জন্য উন্মুক্ত। যদি আপনি ধর্মীয় বিশ্বাসে বিশ্বাসী হন এবং আধ্যাত্মিক উন্নতি চান তাহলে আপনি একাদশী ব্রত পালন করতে পারেন।

আপনার আরও কোন প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

একাদশীতে কি সাবু খাওয়া যায়

একাদশীতে কি সাবু খাওয়া যায়:

হ্যাঁ, একাদশীতে সাধারণত সাবু খাওয়া যায়।

সাবু বা সাবুদানা একাদশী ব্রতের সময় খাওয়ার জন্য একটি জনপ্রিয় খাবার। এটি ধানজাতীয় খাবার নয়, তাই একাদশীর নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে না।

কেন সাবু খাওয়া যায়:

  • ধানজাতীয় নয়: সাবু তালের গাছ থেকে পাওয়া হয়। তাই এটি ধানজাতীয় খাবার নয়।
  • সহজে পাচ্য: সাবু খুব সহজে হজম হয় এবং শরীরে শক্তি জোগায়।
  • বিভিন্ন রেসিপি: সাবু দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা যায়, যেমন সাবুর খিচুড়ি, সাবুর ভুনা, সাবুর পায়েস ইত্যাদি।

কিন্তু মনে রাখবেন:

  • অন্যান্য উপাদান: সাবুর সাথে যদি অন্য কোনো নিষিদ্ধ উপাদান যোগ করা হয়, তবে তা খাওয়া উচিত নয়। উদাহরণস্বরূপ, সাবুর খিচুড়িতে যদি আলু বা অন্য কোনো শাকসবজি যোগ করা হয়, তবে সেটি খাওয়া একাদশী ব্রতের বিধানের বিরুদ্ধাচরণ হতে পারে।
  • ব্যক্তিগত বিশ্বাস: বিভিন্ন পরিবার ও সম্প্রদায়ের একাদশী পালনের বিধানে কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে। তাই নিজের পরিবারের প্রথা অনুসারে খাবার গ্রহণ করা উচিত।

সাবু দিয়ে তৈরি করা কিছু জনপ্রিয় খাবার:

  • সাবুর খিচুড়ি
  • সাবুর ভুনা
  • সাবুর পায়েস
  • সাবুর টিক্কি
  • সাবুর ভাজা

সুতরাং, একাদশীতে সাবু খাওয়া সাধারণত নিষিদ্ধ নয়। তবে অন্যান্য উপাদান এবং ব্যক্তিগত বিশ্বাসের বিষয়টি মাথায় রেখে খাবার গ্রহণ করা উচিত।

আপনার আরও কোন প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

একাদশীতে কি কি খাওয়া যায়

একাদশীতে কি কি খাওয়া যায়:

একাদশীতে কি খাওয়া যায় এবং কি খাওয়া যাবে না, সেটা অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে। একাদশী হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ তিথি, যা বিষ্ণু ভগবানকে উৎসর্গ করা হয়। এই দিনে অনেকে উপবাস পালন করেন এবং কিছু নির্দিষ্ট খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন।

একাদশীতে সাধারণত খাওয়া যায়:

  • ফল: বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন কলা, আপেল, আঙ্গুর ইত্যাদি খাওয়া যায়।
  • সবজি: কিছু সবজি যেমন শাক, পালং শাক ইত্যাদি খাওয়া যায়।
  • দুধ ও দুগ্ধজাত পদার্থ: দুধ, দই, পনির ইত্যাদি খাওয়া যায়।
  • কুমড়ো: কুমড়ো একাদশীতে খাওয়া যায়।
  • মিষ্টি: কিছু মিষ্টি যেমন খেজুরের গুড়, মধু ইত্যাদি খাওয়া যায়।
  • সাবুদানা: সাবুদানা ধানজাতীয় নয়, তাই এটি খাওয়া যায়।

একাদশীতে সাধারণত খাওয়া যায় না:

  • ধানজাতীয় খাবার: চাল, মুড়ি, চিড়া, সুজি, পায়েস, খিচুড়ি, চালের পিঠা, খৈ ইত্যাদি।
  • গমজাতীয় খাবার: আটা, ময়দা, সুজি, বেকারির রুটি বা সকল প্রকার বিস্কুট, হরলিক্স ইত্যাদি।
  • পঞ্চরবি শস্য: ছাতু, খই, রুটি, মুগ, মাসকলাই, খেসারি, মসুরি, ছোলা, অড়হর, ফেলন, মটরশুঁটি, বরবটি ও সিম ইত্যাদি।
  • তেল: সরিষার তেল, সয়াবিন তেল, তিলের তেল ইত্যাদি।

কেন কিছু খাবার নিষিদ্ধ?

এই খাবারগুলি সাধারণত তামসিক বলে মনে করা হয় এবং এগুলি গ্রহণ করলে দেহ ও মন অশুচি হয়ে পড়ে বলে বিশ্বাস করা হয়। একাদশীর দিনে শুদ্ধতা বজায় রাখার জন্য এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলা হয়।

মনে রাখবেন:

  • একাদশীর বিধি-নিষেধ সম্পর্কে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে।
  • কোনও স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে উপবাস পালন করা উচিত।

একাদশীতে কি কি খাওয়া যাবে

একাদশীতে কি কি খাওয়া যাবে:

একাদশীতে খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে। হিন্দু ধর্ম অনুসারে, একাদশী তিথিতে বিষ্ণু ভগবানকে উৎসর্গ করে উপবাস পালন করা হয়। এই দিনে কিছু নির্দিষ্ট খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকা হয়।

একাদশীতে সাধারণত খাওয়া যায়:

  • ফল: বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন কলা, আপেল, আঙ্গুর ইত্যাদি খাওয়া যায়।
  • সবজি: কিছু সবজি যেমন শাক, পালং শাক ইত্যাদি খাওয়া যায়।
  • দুধ ও দুগ্ধজাত পদার্থ: দুধ, দই, পনির ইত্যাদি খাওয়া যায়।
  • কুমড়ো: কুমড়ো একাদশীতে খাওয়া যায়।
  • মিষ্টি: কিছু মিষ্টি যেমন খেজুরের গুড়, মধু ইত্যাদি খাওয়া যায়।
  • সাবুদানা: সাবুদানা ধানজাতীয় নয়, তাই এটি খাওয়া যায়।

একাদশীতে সাধারণত খাওয়া যাবে না:

  • ধানজাতীয় খাবার: চাল, মুড়ি, চিড়া, সুজি, পায়েস, খিচুড়ি, চালের পিঠা, খৈ ইত্যাদি।
  • গমজাতীয় খাবার: আটা, ময়দা, সুজি, বেকারির রুটি বা সকল প্রকার বিস্কুট, হরলিক্স ইত্যাদি।
  • পঞ্চরবি শস্য: ছাতু, খই, রুটি, মুগ, মাসকলাই, খেসারি, মসুরি, ছোলা, অড়হর, ফেলন, মটরশুঁটি, বরবটি ও সিম ইত্যাদি।
  • তেল: সরিষার তেল, সয়াবিন তেল, তিলের তেল ইত্যাদি।

কেন কিছু খাবার নিষিদ্ধ?

এই খাবারগুলি সাধারণত তামসিক বলে মনে করা হয় এবং এগুলি গ্রহণ করলে দেহ ও মন অশুচি হয়ে পড়ে বলে বিশ্বাস করা হয়। একাদশীর দিনে শুদ্ধতা বজায় রাখার জন্য এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলা হয়।

মনে রাখবেন:

  • একাদশীর বিধি-নিষেধ সম্পর্কে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে।
  • কোনও স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে উপবাস পালন করা উচিত।

একাদশীতে কি চা খাওয়া যায়

একাদশীতে কি চা খাওয়া যায়:

একাদশীতে চা খাওয়া নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে।

একাদশীতে সাধারণত সাত্ত্বিক আহার গ্রহণ করা হয়। চা-তে কফিন থাকে, যা একটি উদ্দীপক। অনেকে বিশ্বাস করেন যে, একাদশীতে উদ্দীপক পদার্থ গ্রহণ করা উচিত নয়। তাই অনেকের মতে, একাদশীতে চা খাওয়া উচিত নয়।

কিন্তু, এই বিষয়ে সকলের মত এক নয়।

  • কিছু লোক মনে করেন: চা খাওয়া নিষেধ নয়, তবে দুধের পরিমাণ বাড়িয়ে এবং চিনি কমিয়ে খাওয়া উচিত।
  • অনেকে আবার মনে করেন: চা-তে থাকা কফিন শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং একাদশীতে শরীরকে বিশ্রাম দেওয়া উচিত, তাই চা এড়িয়ে চলা উচিত।

সুতরাং, একাদশীতে চা খাওয়া যাবে কি না, তা আপনার নিজের বিবেচনায়।

  • আপনার ধর্মীয় বিশ্বাস: আপনার ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
  • শারীরিক অবস্থা: যদি আপনার কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  • ব্যক্তিগত পছন্দ: আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

সর্বোত্তম উপায় হল: একাদশীতে শুদ্ধতা বজায় রাখার জন্য চা না খেয়ে অন্য কোনো পানীয় যেমন গরম পানি, লেবু পানি বা ফলের রস খাওয়া।

মনে রাখবেন: একাদশীতে উপবাস পালনের মূল উদ্দেশ্য হল আধ্যাত্মিক উন্নতি এবং মনকে শান্ত করা। তাই আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত পদ্ধতিটি বেছে নিন।

একাদশীতে কি কি সবজি খাওয়া যায়

একাদশীতে কি কি সবজি খাওয়া যায়:

একাদশীতে অনেক ধরনের সবজি খাওয়া যায়। যেসব সবজি খাওয়া যায়, সেগুলি সাধারণত সাত্ত্বিক বলে মনে করা হয়।

একাদশীতে খাওয়া যায় এমন কিছু সবজি:

  • শাক: পালং শাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, বেগুন, করলা ইত্যাদি।
  • তরকারি: আলু, কুমড়ো, শিম, বরবটি ইত্যাদি।
  • ফল: বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন কলা, আপেল, আঙ্গুর ইত্যাদি।

কেন এই সবজিগুলি খাওয়া যায়:

  • সাত্ত্বিক: এই সবজিগুলি সাত্ত্বিক বলে মনে করা হয়, অর্থাৎ এগুলি শরীর ও মনকে শুদ্ধ করে।
  • সহজে পাচ্য: এই সবজিগুলি সহজে হজম হয় এবং শরীরে শক্তি জোগায়।
  • পুষ্টিকর: এই সবজিগুলি বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ।

একাদশীতে সবজি রান্নার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি:

  • তেল: একাদশীতে সাধারণত তেল ব্যবহার করা হয় না। তবে যদি তেল ব্যবহার করতে হয়, তাহলে ঘি ব্যবহার করা ভাল।
  • মশলা: তেজপাতা, লবঙ্গ, দারচিনি ইত্যাদি মসলা ব্যবহার করা যায়। তবে রসুন, পেঁয়াজ ইত্যাদি ব্যবহার করা উচিত নয়।
  • লবণ: স্বাদ অনুযায়ী লবণ ব্যবহার করা যায়।

একাদশীতে সবজি রান্নার কিছু টিপস:

  • সবজিগুলিকে ভাল করে ধুয়ে নিন।
  • সবজিগুলিকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন।
  • সবজিগুলিকে সামান্য পরিমাণে পানিতে ফুটিয়ে নিন।
  • সবজিগুলিকে ঘি বা তেল দিয়ে ভেজে নিন।
  • সবজির সাথে মসলা দিয়ে রান্না করুন।

একাদশীতে সবজি রান্নার কিছু রেসিপি:

  • আলুর কড়াই
  • বেগুন ভাজা
  • ফুলকপির কফতা
  • শিমের কোরমা

মনে রাখবেন:

  • একাদশীর বিধি-নিষেধ সম্পর্কে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে।
  • কোনও স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে উপবাস পালন করা উচিত।

একাদশীতে সবজি রান্না করে আপনি স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু খাবার উপভোগ করতে পারেন।

একাদশীতে কি মিষ্টি খাওয়া যায় 

একাদশীতে কি মিষ্টি খাওয়া যায়:

একাদশীতে মিষ্টি খাওয়া নিয়ে কিছুটা বিভ্রানতি রয়েছে।

সাধারণত একাদশীতে ধান ও গমজাত খাবার খাওয়া নিষেধ করা হয়। কিন্তু মিষ্টির ক্ষেত্রে বিষয়টা একটু আলাদা।

কিছু মিষ্টি খাওয়া যায়:

  • ফল: অনেক ফলই মিষ্টি স্বাদের হয়। যেমন: কলা, আঙ্গুর, খেজুর ইত্যাদি। এই ফলগুলি একাদশীতে খাওয়া যায়।
  • মধু: মধু একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি এবং এটি একাদশীতে খাওয়া যায়।
  • খেজুরের গুড়: খেজুরের গুড়ও একাদশীতে খাওয়া যায়।

কিছু মিষ্টি খাওয়া যায় না:

  • ধান বা গম থেকে তৈরি মিষ্টি: যেমন: রসগোল্লা, গুলাবজামুন, চন্দ্রমুখি ইত্যাদি। এই মিষ্টিগুলো একাদশীতে খাওয়া যাবে না।
  • চিনি দিয়ে তৈরি মিষ্টি: সাধারণত চিনি ধান থেকে তৈরি হয়, তাই চিনি দিয়ে তৈরি মিষ্টি একাদশীতে খাওয়া উচিত নয়।

মনে রাখবেন:

  • বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিধান: একাদশী পালনের বিধান সম্পর্কে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে।
  • স্বাস্থ্য: যদি আপনার কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে উপবাস পালন করা উচিত।
  • আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্য: একাদশীর মূল উদ্দেশ্য হল আধ্যাত্মিক উন্নতি। তাই আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত পদ্ধতিটি বেছে নিন।

সারসংক্ষেপ:

একাদশীতে ফল, মধু, খেজুরের গুড় ইত্যাদি খাওয়া যায়। কিন্তু ধান বা গম থেকে তৈরি মিষ্টি এবং চিনি দিয়ে তৈরি মিষ্টি খাওয়া উচিত নয়।


Tags: একাদশীতে কি কি খাওয়া নিষিদ্ধ,একাদশী কি সবাই করতে পারে,একাদশীতে কি সাবু খাওয়া যায়,একাদশীতে কি কি খাওয়া যায়,একাদশীতে কি কি খাওয়া যাবে,একাদশীতে কি চা খাওয়া যায়,একাদশীতে কি কি সবজি খাওয়া যায়,একাদশীতে কি মিষ্টি খাওয়া যায়


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url